উচ্চ রক্তচাপ কমানোর ৭ উপায়
‘উচ্চ রক্তচাপ বা হাইপারটেনশন’ একটি দীর্ঘমেয়াদি অবস্থা। যেখানে ধমনিতে রক্তের চাপ নিয়মিতভাবেই স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি থাকে। উচ্চ রক্তচাপের কারণে হতে পারে হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোক, যা অনেক ক্ষেত্রেই হয়ে ওঠে প্রাণঘাতী।
তবে মানসিক চাপ, রাগ, হঠাৎ অতিরিক্ত ব্যায়াম বা তর্ক-বিতর্কের কারণে এই চাপ আরও বেড়ে যেতে পারে। ওষুধ খাওয়ার পাশাপাশি কিছু প্রাকৃতিক উপায় রয়েছে যা প্রেসার দ্রুত কমাতে সাহায্য করতে পারে।
চলুন জেনে নেওয়া যাক এমন ৭টি কার্যকর উপায়-
১. ঠাণ্ডা পানির ব্যবহার
মুখে, মাথায় বা পায়ে ঠাণ্ডা পানি দিলে রক্তনালি সংকুচিত হয়। এতে হার্টে রক্ত প্রবাহ কিছুটা কমে ও প্রেসার স্বাভাবিক হতে থাকে। ঠাণ্ডা পানিতে ৫-১০ মিনিট পা ডুবিয়ে রাখলে ভালো ফল মেলে।
আরও পড়ুন
তিন দিনে ওজন কমাবেন কীভাবে?
২. গভীর শ্বাস-প্রশ্বাস নিন
ধীরে ও গভীর শ্বাস নিলে শরীরের প্যারাসিমপ্যাথেটিক সিস্টেম সক্রিয় হয়। এটি হৃৎস্পন্দন কমায় ও রক্তনালিকে শিথিল করে, ফলে রক্তচাপ দ্রুত কমে যায়। কয়েক মিনিট ধরে ধীরে ধীরে শ্বাস নিন ও ছাড়ুন।
৩. চিনি-লবণ ছাড়া লেবু পানি
লেবুতে থাকা পটাশিয়াম রক্তনালিকে শিথিল করতে সাহায্য করে এবং শরীর থেকে সোডিয়াম বের করতে সহায়তা করে। এক গ্লাস পানিতে অর্ধেক লেবুর রস মিশিয়ে দিনে একাধিকবার ধীরে ধীরে পান করুন।
৪. পানি ধীরে ধীরে পান করুন
ডিহাইড্রেশন হলে রক্তচাপ বেড়ে যেতে পারে। ধীরে ধীরে পানি পান করলে শরীরে রক্তের পরিমাণ সঠিক থাকে এবং প্রেসার কমে আসে। তাড়াহুড়া করে গিলবেন না, ধীরে ধীরে চুমুক দিয়ে পান করতে হবে।
৫. তুলসী ও রসুন খান
রসুনে থাকা অ্যালিসিন রক্তনালি প্রশস্ত করে এবং রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখে। তুলসীতে আছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও প্রদাহনাশক উপাদান। কাঁচা রসুন বা তুলসীর পাতা চিবিয়ে খাওয়া যেতে পারে।
৬. পা ওপরে তুলে শুয়ে থাকুন
চাপ কমাতে পিঠের ওপর শুয়ে পড়ে পা উপরে তুলে রাখুন (হার্টের উচ্চতার ওপরে)। এতে রক্ত সহজে ফিরে আসে এবং হার্টের উপর চাপ কমে যায়। ১০-১৫ মিনিট এভাবে বিশ্রাম নিন।
৭. বিকল্প নাকের শ্বাস-প্রশ্বাস (অনুলোম–বিলোম প্র্যাকটিস করুন)
এই যোগ-শ্বাসপ্রশ্বাস পদ্ধতি মানসিক চাপ কমায়, নার্ভাস সিস্টেমকে শান্ত রাখে এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এক নাক বন্ধ করে অপর নাক দিয়ে শ্বাস নিয়ে ছেড়ে দিন এবং টানা ৫-১০ মিনিট চালিয়ে যান।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া