এনবিআরে আন্দোলন: শাস্তি পেতে পারেন তিন শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী
আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ অব্যাহত রেখেছে সরকার। ইতিমধ্যে চারজনকে বাধ্যতামূলক অবসর এবং ২৩ জনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। আরও তিন শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারীর নামের তালিকা করা হয়েছে। আন্দোলনের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় কাজে ব্যাঘাত সৃষ্টি করা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে যাচাই-বাছাই শেষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
সূত্র বলছে, আন্দোলনে অংশগ্রহণ, অফিস বন্ধ রেখে কাজে অনুপস্থিত থাকা ও বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা ৩৪৬ জন এনবিআর কর্মকর্তা-কর্মচারীর নামের তালিকা করা হয়েছে। তালিকা ধরে যাচাই-বাছাই করা হবে। রাষ্ট্রবিরোধী কার্যক্রমে যাঁদের সম্পৃক্ততা, অংশগ্রহণ, সমর্থন ও সহযোগিতার প্রমাণ পাওয়া যাবে, তাঁদের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ধারণা করা হচ্ছে, অন্তত দেড় শ কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, তালিকা অনেক বড়। তবে এটা খসড়া। সবার বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে—এমন নয়।
এনবিআরের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘অনেক আগে থেকেই এসব শোনা যাচ্ছে। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সংখ্যা শুনছি। তবে চূড়ান্ত করে কিছু বলা যাচ্ছে না। ব্যবস্থা নেওয়া হলে তখনই বোঝা যাবে সংখ্যাটা কত?’
এদিকে কখন কার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়, সেই আতঙ্ক কাজ করছে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে। ক্ষমা চাওয়ার পরও এমন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ায় ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ করেছেন অনেকেই। বিশেষজ্ঞ ও সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, ঢালাওভাবে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের ফলে অসন্তোষ তৈরি হবে এবং রাজস্ব আহরণ কার্যক্রম গতি হারাবে।